শুক্রবার, ১২ নভেম্বর, ২০২১

মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী মোসাঃ মমতাজ বেগম দোয়া চেয়েছেন।

 




মেম্বার পদপ্রার্থী মোসাঃ মমতাজ বেগম  দোয়া চেয়েছেন।

আসন্ন  ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইংরেজি  মির্জাগন্জ উপজেলায় ৬নং  মজিদবাড়িয়া  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগে নেমে পড়েছেন  মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের  মোঃ আবুল হোসেন  এর সহধর্মিণী  মোসাঃ মমতাজ বেগম।

মোসাঃ মমতাজ বেগম একজন সাবেক মহিলা মেম্বার, 

তিনি গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের মেহনতী বন্ধু, তিনি মেম্বার না হয়েও সবসময় গরীব দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন সবসময়।

মোসঃ মমতাজ বেগম - বলেন আমি আগেও গরীব দুঃখী মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো, এর জন্য আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করি।আমি আগে যেমন আপনাদের পাশে ছিলাম এখনো আপনাদের সুখ দুঃখে বিপদে আপদে আপনাদের পাশে থাকতে চাই, তার জন্য শুধু আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

আপনারা যদি আমাকে আপনাদের মূল্যবান ভোট টা দিয়ে জয় করেন, তাহলে আমি এইএলকার উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাবো।

তিনি আরো বলেন আমি ক্ষমতা চাইনা, আমি চাই জনগণের সেবা করতে, ক্ষমতা আমার অহংকার নয়, বরং জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারাই আমার অহংকার।


৪,৫, ও ৬ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,এলাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের নেতাকর্মী,ভোটার ও সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী মমতাজ বেগম।

মানুষের সব সময় খোঁজ খবর রাখেন তিনি।

এলাকার মানুষের বিপদে পাশে থাকাসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে,অংশ নিচ্ছেন।তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক,স্বেচ্ছাসেবী ও ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দিয়ে এলাকার অসহায়,হতদরিদ্র গরিবদের সেবা অব্যাহত রেখেছেন। সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তার আচার,ব্যবহারে মুগ্ধ।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,

 মোসাঃ মমতাজ বেগম  এর গ্রহণযোগ্যাতা রয়েছে,তিনি ভোটার ও সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী মমতাজ  বেগম  বলেন, যদি আমি জয়যুক্ত হতে পারেলে ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করবো।

মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১

স্যালাইন সংকটে মির্জাগঞ্জ উপজেলাবাসী

করোনার মত মহামারী মাঝে মির্জাগঞ্জ উপজেলায়

ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে।

প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন সুবিদখালী সরকারি হাসপাতালে।

হঠাৎ করে ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়ায় সংকটে পড়েছে  স্যালাইন।

সুবিদখালী সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় হঠাৎ করে অত্যাধিক গরম, নদী ও খাল বিলে লবণাক্ত  পানির ব্যবহার ও মৌসুমী খাবার তরমুজের কারণেই ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে যারা কারণে সংকটে পড়েছে স্যালাইন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালটি।

উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে ঘুরে ও পাওয়া যাচ্ছে না খাবার স্যালাইন এবং ডায়রিয়ার স্যালাইন।

তবে হাসপাতাল সূত্র জানায় জানা যাচ্ছে সেলাইন সংকটে পড়লেও দুই-একদিনের ভিতরে সংকট কেটে যাবে।

তবে উপজেলার বিভিন্ন সংস্থা ন্যায্যমূল্যে স্যালাইন বিক্রি করলেও রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে সবাইকে স্যালাইন দিতে পারছেনা।


সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১

মহামারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মির্জাগঞ্জে ১১ ও দুমকিতে ৪ জনের মৃত্যু.

 মহামারী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মির্জাগঞ্জে ১১ ও দুমকিতে ৪ জনের মৃত্যু. 



প্রচন্ড গরম ও কিছু খাবার দাবারের ফলে পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।


মির্জাগঞ্জ উপজেলায় গত তিনদিনে (১৭ - ১৯ এপ্রিল) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠাঁলতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও সমাদ্দারকাঠী গ্রামের রাকিব খন্দকারের মেয়ে সাহারা সানফুল (১৫), উত্তর মাধবখালী গ্রামের মৃত মহবত আলী হাওলাদারের ছেলে মন্নাফ হাওলাদার (৫০), মাধবখালী গ্রামের মৃত. বন্দে আলী সিকদারের ছেলে মোঃ নুর মোহাম্মদ সিকদার (৮০), উত্তর মাধবখালী গ্রামের দেনছে আলী সিকদারের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫), সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত. ফরমান সিকদারের ছেলে আলীম উদ্দিন সিকদার (৭৫), একই গ্রামের মৃত. গনি হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০), মৃত. করিম নেগাবানের মেয়ে ফরিদা বেগম (৫০), ভাজনা কদমতলা গ্রামের মৃত. আজাহার হাওলাদারের ছেলে সোবাহান হাওলাদার (৫৬), পিপড়াখালি গ্রামের ইউনুস সরকারের স্ত্রী কদভানু বেগম (৭০), ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র মালির স্ত্রী বিরেন মালী (৫৫) ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত. একরাম সিকদারের ছেলে আলেক সিকদার (৫০) এর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ০৩ টা পর্যন্ত স্থানীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা গেছে।


মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৯৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে এবং ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭২ জন। এ নিয়ে গত ৭ দিন ওই উপজেলায় ডায়রিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪২ জনে দাড়িয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ২৬১ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ।


মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, হাসপাতাল ভর্তি কোন ডায়রিয়ার রোগী এখন পর্যন্ত মারা যায়নি। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরো জানান, বিগত বছরগুলোতে কখনো এতো পরিমান ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে আসে নাই। রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে কিছু স্যালাইন সংগ্রহ করা হয়েছে ও চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।


উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: শহীদুল হাসান শাহীন স্যালাইন সঙ্কটের

সত্যতা স্বীকার করে জানান, চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। দু-একদিনে সঙ্কট কেটে যাবে বলে আশা করছি।


এদিকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া জলিশা গ্রামের আ: হক মুন্সী (৭০) রোববার, এর আগে বৃহস্পতিবার ১১ মাস বয়সী আকিব খান নামে এক শিশু, হাসপাতালের বাইরে পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহে ওই উপজেলায় চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।


হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে দু’শতাধিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। এখন প্রতিদিনই গড়ে ২৫-৩০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এসব রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাকিরুজ্জামান এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীদের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেড সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।

সোমবার, ২৯ মার্চ, ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮দফা নির্দেশনা জারি


করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে ১৮দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ 29 মার্চ, রোজ সোমবার 
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব 
ডঃ আহমদ কায়কাউস এর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে
 এই নির্দেশনাগুলো জানানো হয়।

নির্দেশনাগুলো হল:-
১ঃ সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/ রাজনৈতিক/ ধর্মীয়! অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরণের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে/ জন্মদিনসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

২ঃ মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৩ঃ পর্যটন/ বিনোদন কেন্দ্র সিনেমা হল/ থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করতে হবে এবং সকল ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে হবে।

৪ঃ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।

৫ঃ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে; প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।

৬ঃ বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৭ঃ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী খোলা/ উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮ঃ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

৯ঃ শপিং মলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

১০ঃ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

১১ঃ অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা/ আড্ডা বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর বাইরে বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১২ঃ প্রয়োজনে বাইরে গেলে মাক্ক পরিধানসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরিধান না করলে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৩ঃ করোনায় আক্রান্ত/ করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যান্যদেরও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

১৪ঃ জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস! প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাসমূহ ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/ অসুস্থ/ বয়স ৫৫-উর্ধব কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৫ঃ সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে।

১৫ঃ সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন যে কোন ধরণের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

১৬ঃ হোটেল-রেস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ বারিত করতে হবে।

১৭ঃ কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সর্বদা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

১৮ঃ ওষুধের দোকানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।



 

শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ইউনিয়ন পরিষদে ভোট ৭ এপ্রিল শুরু


 ইউনিয়ন পরিষদে প্রথম ধাপের ভোট আগামী ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের কারণে মার্চ মাসে নির্বাচন হবে না। 


সিইসি বলেন, ৭ এপ্রিল কিছু ইউনিয়ন পরিষদ ও বাদ পড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে। রোজার ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট হবে। এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধনের সময় ও সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা জানান।


সিইসি বলেন, মে মাসে বাকি ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ভোট করব। তখন বর্ষা থাকবে, কষ্ট হবে তবুও ভোট করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভার পর পুরো বিষয়টি জানাতে পারব। 


ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় প্রতীকে ভোটের বিষয়ে আইনে কোনো সংশোধন আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। সংশোধন করার দরকারও নেই। আমাদের নির্বাচনে যেসব আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ সময় নির্বাচন আইনের সংশোধনের সুযোগ নেই, সময়ও নেই।

এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল , কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পিছিয়ে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১

 আগামী মার্চে দেশব্যাপী বড় পরিসরে ইউপি নির্বাচন শুরু করার কথা থাকলেও তা পারছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে ঈদের পর এ ভোট শুরুর চিন্তা করছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। ২ মার্চ ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা এবং মধ্য এপ্রিলে রমজান শুরু হওয়ার কারণে এ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে


 

তবে এপ্রিলের মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে এমন ২০-২৫টি ইউপিতে রমজানের আগে ভোট হতে পারে। এ ছাড়া ২১ মার্চের মধ্যে ৭৫২ ইউপিতে ভোট করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। নির্বাচন আইন অনুযায়ী ‘দৈব-দুর্বিপাকজনিত বা অন্যবধি কোনো কারণে নির্ধারিত পাঁচ বছর মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে, সরকার লিখিত আদেশ দ্বারা, নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কিংবা অনধিক ৯০ দিন পর্যন্ত, যা আগে ঘটবে, সংশ্লিষ্ট পরিষদকে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ক্ষমতা দিতে পারে।’

বর্তমানে সারা দেশে ইউপি সংখ্যা ৪ হাজার ৪৮৩টি। এর মধ্যে ছয় ধাপে ভোট হয়েছে ৪ হাজার ৩২১টিতে এবং অন্যান্য সময়ে ভোট হয়েছে ১৬২টিতে। ২১ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী সময় শেষ হবে ৭৫২ ইউপির, ৩০ মার্চ সময় শেষ হবে ৬৮৪ ইউপির, ২২ এপ্রিল সময় শেষ হবে ৬৮৫ ইউপির, ৬ মে সময় শেষ হবে ৭৪৩ ইউপির, ২৭ মে সময় শেষ হবে ৭৩৩ ইউপির এবং ৩ জুন শেষ হবে ৭২৪ ইউপির মেয়াদ।


জানা গেছে, চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দিয়ে মার্চের মাঝামাঝি ৭ শতাধিক ইউপিতে ভোট করার কথা ছিল। কিন্তু ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হবে ২ মার্চ। তাই তালিকা চূড়ান্ত না করে এ নির্বাচনের তফসিল দিতে চাইছে না কমিশন। কেননা তালিকা চূড়ান্ত না হলে নতুন ভোটাররা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটদান করতে পারবেন না। তাই আইনি জটিলতা এড়াতেই ইসি এ নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে রমজানের আগে বড় পরিসরে ইউপি নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। এক চিঠিতে বলা হয়েছে, রমজানের আগে ইউপি নির্বাচন কতটুকু করা যাবে তা সন্দিহান। কর্মকর্তারা বলেছেন, এপ্রিলের মধ্যে যেসব ইউপির মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন করা যায় কিনা সে চিন্তা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রেও সবকটির নির্বাচন সম্ভব হবে না। রমজানের আগে ২০-২৫টিতে নির্বাচন হতে পারে।ইউপি ভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, ‘২ মার্চ ভোটার তালিকার সিডি হওয়ার কথা। ওই কাজটা যদি আমরা সঠিকভাবে করতে পারি তাহলে মে মাসে যেগুলোর মেয়াদ শেষ হবে সেগুলোর নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিশন সভা করে সে সিদ্ধান্ত নেবে।’

তিনি বলেন, ‘হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও আগের ভোটার তালিকা (কমফাইল) একসঙ্গে করে যদি আমাদের হাতে সময় থাকে তবে আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব। ইউপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরা দুটি বিষয় দেখব। প্রথমত রমজান, দ্বিতীয়ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত আছে কিনা। হালনাগাদ তালিকা ও আগের তালিকা একসঙ্গে করে যদি ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে পারি তবে রমজান দেখে আমরা কিছু নির্বাচনের তফসিল দিতে পারি।’ তফসিল কবে হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যদি হয় তবে মার্চে হতে পারে। এ সময়ের মধ্যে ৪ শতাধিক ইউপি নির্বাচন-উপযোগী হবে। তবে সবকটিতে একসঙ্গে নির্বাচন করতে পারব কিনা সন্দেহ আছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তো রমজানে নির্বাচন করতে পারব না। আবার ভোটার তালিকা যদি প্রস্তুত না হয় তা হলেও নির্বাচন করতে পারব না। এ দুটি বিষয়ে যদি বাধা না হয় তবে যতগুলো পারব নির্বাচন করব।’ 

বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ধারালো চাকুর আঘাতে মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত,আহত ৩,আটক ২

 

 
ফাইল ছবি

সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলি সুবিদখালীতে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ধারালো চাকুর আঘাতে আব্দুল মান্নান মুজাহিদী (৫৭)নিহত হয়েছেন। এসময় শাকিল (৩৭)শাহিদুল (২৭)আযহার (৭০)নামে তিনজন চাকুর আঘাতে গুরুতর জখম হয় এবং এদের মধ্যে আজহারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মান্নান মুজাহিদীপশ্চিম সুবিদখালী সালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, আজ সকাল সাড়ে নয়টায় মুঠোফোনের জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সকলকে  সুবিদখালী সরকারি হাসপাতালে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নান মুজাহিদীকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত মান্নান মুজাহিদী স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে ফয়সালাকৃত বাড়ি সংলগ্ন এলাকার জমিতে নির্মাণ করতে গেলে প্রতিপক্ষ কিতাব আলি, লিটন, শিপন গংরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র, ও চাকু নিয়ে তাদের উপরে হামলা চালায়। এসময় মান্নান মুজাহিদীর বুকে চাকু দিয়ে তিনটি জখম করা সহ অন্যান্যদের উপর হামলা চালানো হয়। এছাড়াও গুরুতর জখম আজহারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মহিলা মেম্বার পদপ্রার্থী মোসাঃ মমতাজ বেগম দোয়া চেয়েছেন।

  মেম্বার পদপ্রার্থী মোসাঃ মমতাজ বেগম  দোয়া চেয়েছেন। আসন্ন  ২৮ নভেম্বর ২০২১ ইংরেজি  মির্জাগন্জ উপজেলায় ৬নং  মজিদবাড়িয়া  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচ...